ভারতীয় সীমান্তে তিনটি ইয়াবা কারখানার সন্ধান, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত এলাকায় ভারতীয় অংশে তিনটি
ইয়াবার কারখানা রয়েছে বলে দেশটির মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর জানতে পেরেছে। প্রতিষ্ঠানটি
বলছে, এই তিনটি কারখানায় উৎপাদিত ইয়াবা বড়ি দুই বছর ধরে বাংলাদেশে আসছে। বাংলাদেশে চোরাচালানের জন্য
কারখানায় ইয়াবা তৈরি হয়।ভারতের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ব্যুরো অব নারকোটিক্স কন্ট্রোলকে
আনুষ্ঠানিকভাবে এই তথ্য প্রকাশ করে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেছে। গত ২৬ অক্টোবর বাংলাদেশের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ
ব্যুরো ও বাংলাদেশের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক পর্যায়ে অনুষ্ঠিত সপ্তম দ্বিপাক্ষিক
ভার্চুয়াল সম্মেলনে এ অনুরোধ জানানো হয়।
আরও নতুন নিউস পেতে আমাদের সাইট:ukhealthz.xyz
ভারতীয় সীমান্তে তিনটি ইয়াবা কারখানার সন্ধান
বৈঠকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর জানায়, শুধু এই তিনটি কারখানা নয়, ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্য মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে ইয়াবা আমদানি করছে। মাদক পাচারকারীরাও এ কাজে ভারতের সমুদ্র ব্যবহার করছে। বৈঠকে বাংলাদেশ আরও জানায়, ভারত থেকে ফেনসিডিল ও হেরোইন, গাঁজা ও বুপ্রেনরফিন ইনজেকশনের মতো মাদক বিভিন্ন নামে আসছে।সূত্রের মতে, বৈঠকে ভারতীয় ড্রাগ কন্ট্রোল এজেন্সির ড্রাগ পাচার রোধ, ক্ষমতা বৃদ্ধি, বুদ্ধি বিনিময় এবং আন্তঃদেশীয় মাদক পাচারকারীদের সম্পর্কে একে অপরকে জানানোর জন্য একসাথে কাজ করার প্রয়োজনীয়তার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করা হয়েছে।মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবদুস সবুর মন্ডল প্রথম আলোকে বলেন, ভারতের কিছু এলাকা দিয়ে ইয়াবা বাংলাদেশে পাচার হয়।
সেটা ভারতকে জানানো হয়েছে
ভারতের সঙ্গে মাদক পাচারের নতুন রুট নিয়ে আলোচনা হয়েছে।ভারতের বাংলাদেশ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর যে তিনটি ইয়াবা কারখানার উল্লেখ করেছে, তার মধ্যে দুটি পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহারে এবং একটি উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলায়। মিয়ানমার থেকে এমফিটামিন আমদানি করে এসব কারখানায় ইয়াবা তৈরি করা হয়।বৈঠকে উপস্থাপিত নথি অনুযায়ী, বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম সীমান্তে জিরো লাইন থেকে মাত্র ৫০ মিটার দূরে কোচবিহারের একটি কারখানা। কারখানার মালিক স্থানীয় আব্দুল সামাদের ছেলে মো. আল আমিন ইসলাম (৩৫)। একই সীমান্তের ৪০০ মিটারের মধ্যে আরেকটি কারখানা। এ কারখানার মালিক স্থানীয় হযরত আলীর ছেলে নজরুল ইসলাম (৩৫)। তৃতীয় কারখানাটি সাতক্ষীরা সীমান্তের ওপারে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনায়। কারখানাটি সীমান্তের জিরো লাইন থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে। মালিক ডিম্পল নামে এক ব্যক্তি।
বৈঠকে তিনটির সুনির্দিষ্ট বিবরণ তুলে ধরা
হলেও বাংলাদেশের কর্মকর্তারা বলছেন, ইয়াবা কারখানার সংখ্যা আরও বেশি। গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গের বাইরে আসাম ও মেঘালয়ে ইয়াবার কারখানা রয়েছে। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কর্মকর্তারা বলছেন, তারা ভারত সীমান্তে ১১টি ইয়াবা কারখানার গোয়েন্দা তথ্য পেয়েছেন। তথ্য যাচাই করা হচ্ছে।বিজিবির পরিচালক (অপারেশন) লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফয়জুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ভারতীয় সীমান্তের বিভিন্ন স্থানে ইয়াবার কারখানা গড়ে তোলার বিষয়ে গোয়েন্দা তথ্য পাওয়া গেছে। তবে মাদক দমনে বিজিবি তৎপরতা জোরদার করেছে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের দুই কর্মকর্তা এ প্রতিবেদককে বলেন, মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে ইয়াবা পাচারের রুট হিসেবে ভারতকে ব্যবহার করছে মাদক ব্যবসায়ীরা। ইয়াবা প্রথমে মিয়ানমার থেকে মিজোরাম সীমান্ত দিয়ে ভারতে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে এটি ত্রিপুরা, মেঘালয় ও আসাম হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে।