বার্লিন প্রাচীর ভেঙে গেছে

বার্লিন প্রাচীর ভেঙে গেছে
বার্লিন প্রাচীর ভেঙে গেছে

বার্লিন প্রাচীর ভেঙে গেছে, আমার জার্মানিতে যাত্রা শুরু হয়েছিল জীবনের অনেক ‘প্রথম’ দিয়ে।

ভিসার জন্য সাক্ষাত্কার নেওয়ার জন্য একটি দেশের দূতাবাসে যাওয়ার প্রথম একজন।ঢাকায় জার্মান দূতাবাসে

ভিসা আবেদনকারীদের সাক্ষাৎকার নেওয়ার জন্য দুটি কক্ষ রয়েছে। এক রুমে একজন বাংলাদেশী

ভদ্রলোক ইন্টারভিউ নিচ্ছেন, আরেক রুমে একজন জার্মান মহিলা। আমার কল এসেছিল এক জার্মান মহিলার

ঘর থেকে। আমি তার ঘরে ঢুকলাম। সে আমার পাসপোর্টের দিকে বিচক্ষণতার সাথে তাকাল।

একের পর এক পাসপোর্টের পাতা উল্টালেন। এর আগে পাসপোর্টের কোনো পেজে ভ্রমণের কোনো সিল নেই।

দেখে মনে হল আমি হতাশ হয়ে গেছি।আমি সবকিছু সম্পর্কে আরো এবং আরো উত্তেজিত. রবীন্দ্রনাথ

যেমন তাঁর ‘জীবন স্মৃতি’ গ্রন্থে তাঁর পিতার সঙ্গে হিমালয় ভ্রমণের গল্প লিখেছেন।

আরও নতুন নিউস পেতে আমাদের সাইট:ukhealthz.xyz

বার্লিন প্রাচীর ভেঙে গেছে

তিনি লিখেছেন, ‘বাবা জিজ্ঞেস করলেন, আমি কি তাকে নিয়ে হিমালয়ে যেতে চাই? আমি যদি শুধু চিৎকার করতে পারি “আমি চাই”, এটা আমার মনের মধ্যে একটি উপযুক্ত উত্তর হবে। ‘তুরস্কের ফ্লাইট। প্রথমে ঢাকা থেকে পাকিস্তান হয়ে ইস্তাম্বুল, তারপর সেখান থেকে বার্লিন। জীবনের প্রথম প্লেনে উঠুন, প্রথম প্লেনের খাবার খান, প্রথমে বাংলাদেশের সীমান্ত পেরিয়ে আকাশে উঠুন! বিমানের খাবার সম্পর্কে কিছু মানুষ ভুল তথ্য দিয়েছেন। অন্যদের মুখে শোনা অভিজ্ঞতার সাথে আমি কোন মিল খুঁজে পাচ্ছি না। আরে, খাবারটা সুস্বাদু। একেবারে উচ্চতর! বাহ, রবি ঠাকুর এবং আমার মধ্যে অনেক মিল আছে! রবি ঠাকুর শৈশবে পিতার সাথে ভ্রমণ করবেন। যাত্রার এক পর্যায়ে তাকে ট্রেনে উঠতে হয়। বড় ভাই সত্য তাকে বুঝিয়ে বললেন, ‘বিশেষ দক্ষতা ছাড়া ট্রেনে ওঠাটা একটা ভয়াবহ সংকট। একবার পা পিছলে গেলে আর রক্ষা নেই।

তারপর গাড়ি চলতে শুরু করলে আমি

আমার শরীরের সমস্ত শক্তি দিয়ে বসতে চাই, পাছে আমাকে এত জোরে আঘাত করে যে লোকটি কোথায় পড়েছিল তার ঠিকানা খুঁজে পাচ্ছি না। স্টেশনে পৌঁছে রবীন্দ্রনাথ একটু ভয় পেলেন। কিন্তু তিনি এত সহজে ট্রেনে উঠলেন যে তিনি সন্দেহ করলেন যে ট্রেনে ওঠার আসল অংশটি এখনও বাকি ছিল। তারপর খুব সহজে ট্রেন চলে গেলে, কোথাও বিপদের আভাস না পাওয়ায় রবি ঠাকুরের মন খারাপ হয়ে গেল।কংক্রিটের শহর বার্লিনে যখন নামলাম, তখন বিকেল। টেগেল এয়ারপোর্ট থেকে বেরিয়ে রাস্তায় এসে দাঁড়াল। বেশ শীত. তুষারময় শীত। আমি এমন আবহাওয়ার সাথে পরিচিত নই। একটা ট্যাক্সি ক্যাব কিনলাম। গাড়ি চলছে। দুপাশে পাতাহীন গাছ। রাস্তার দুই পাশে বরফে ঢাকা। মনে পড়ে মান্নার সেই বিখ্যাত গান, ‘…তুমি থেকো শেষ পাতায়।’না, প্রকৃতি তা বলে নি। গাছের ডালে পাতা নেই! বার্লিনের হোটেলটির নাম মোটেল ওয়ান।

মোটেল ওয়ান একটি তিন তারকা হোটেল

হোটেলের প্রায় সব আসবাবপত্র, প্রবেশপথ এবং দেয়াল ফিরোজা রঙে আঁকা। শরীর এতটাই ক্লান্ত যে শরীর বা মন কেউই নীল রঙের গভীরতা সহ্য করতে পারে না। না, বাংলাদেশের মতো কোনো হোটেলকর্মী এগিয়ে আসেনি। নিজের লাগেজ নিয়ে রুমে পৌঁছে গেলাম। আমি স্নান করে ঘুমিয়ে নিলাম। ইউরোপে পরের দিন সকালে ঘুম থেকে উঠলাম।দুপুর পর্যন্ত অবসর। দুপুরের পর থেকে শুরু হবে পেশাগত দায়িত্ব। সকালের নাস্তা করে রওনা দিলাম। কাছাকাছি ঐতিহাসিক ব্র্যান্ডেনবার্গ গেট। হোটেল থেকে গন্তব্যে যাওয়া যেতে পারে হাঁটার পথ। হোটেল ছেড়ে সামনের দিকে গিয়ে বাঁ দিকে হাঁটলাম। ‘বার্লিন অ্যাট্রাকশন’ লিখে গুগলে সার্চ করলে ইন্টারনেট যে প্রথম আকর্ষণ দেখায় তা হল ব্র্যান্ডেনবার্গ গেট। আমরা প্রায় ১৫ মিনিট হেঁটে ব্র্যান্ডেনবার্গ গেটের সামনে থামলাম।

 

 

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *